স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ড এর আদলে সরস্বতীর মন্ডপ : উৎসাহিত দর্শকরা

16th February 2021 6:24 pm হুগলী
স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ড এর আদলে সরস্বতীর মন্ডপ : উৎসাহিত দর্শকরা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : দুয়ারে সরকারের 'স্বাস্হ্যসাথী' প্রকল্পে স্বাস্হ্যসাথী কার্ড পেল বাগদেবী। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি শীতলাতলা গ্রামে নতুন পরিকল্পনা গ্রামবাসীদের। গ্রামের ক্ষুদে সদস্যদের পরিকল্পনায় জনগনের কাছে স্বাস্হ্যসাথী কার্ডের সচেতনতার বার্তা দিতেই সরস্বতী পুজোয় এই অভিনব প্রচেষ্টা। গ্রামের মানুষজন যে এই কার্ডে সুফল পেয়েছে, তাঁরই কারণে সরস্বতী পুজোর থিমে 'স্বাস্হ্যসাথী' কার্ড।ভোট বাজারে স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ড নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে । শাসকদল যখন এই প্রকল্পের সাফল‍্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন‍্য একাধিক পরিকল্পনা গ্ৰহণ করেছে , তখন বিরোধী রাজনৈতিক দল এই কার্ডকে " ঢপের চপ " আখ‍্যা দিয়ে প্রচার করছেন । শাসকদল অবশ‍্য দাবী করেছে , বিরোধীরা অপপ্রচার করলেও নিজেরা পরিবারের জন‍্য এই প্রকল্পে নাম লেখাচ্ছেন লাইন দিয়ে । ৫ লক্ষ‍্য টাকার ক‍্যাশলেশ পরিষেবা নেওয়ার জন‍্য উৎসুক সকলে । পরিবারের মহিলার নামে তৈরী করা হচ্ছে এই নীলরঙা কার্ডটি । এবার সেই প্রকল্প এর কথা মানুষের কাছে আরো নিবিড়ভাবে হাজির করতেই  সরস্বতী পুজোর মন্ডপ হল স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ডের আদলে । অভিনব মন্ডপ দেখে আকর্ষিত হচ্ছেন সব বয়সীরাই । উদ‍্যোক্তারাও খুশি একদিকে সরকারের প্রকল্পের প্রচার অন‍্য দিকে পুজোর আয়োজনে ভীড় । মন্ডপ ঘিরে তুঙ্গে উৎসাহ বেড়াবেড়িতে ‌।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।